সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৫ অপরাহ্ন
বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা: বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত উপজেলা সদর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ প্রেক্ষিতে বার বার উর্ধ্বতন মহলের কাছে দাবি জানিয়ে কোন ফলাফল না পেয়ে অবশেষে শিক্ষিকা রেহেনা আক্তারের অপসারনের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে এলাকাবাসি, অভিভাবক ও সচেতন মহল। এরপর স্থানীয় অভিভাবকরা তাদের সন্তান স্কুল থেকে সরিয়ে নিতে থাকলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হন এই শিক্ষিকা রেহেনা আক্তার। কিন্তু এত অভিযোগের পরও এই শিক্ষক রেহেনা আক্তার বহালই থাকছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে উক্ত বিদ্যালয়ে সেটিও আচরণ সংশোধনীর শর্তে। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকালে উপজেলা সদরস্থ প্রাথমিক শিক্ষক মিলনায়তনে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আহবানে বিচারকমন্ডলীর সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য শামছুজ্জামান শাহ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় সুলেমান ও আয়েশা আক্তার, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কাজী সেলিম খান, সহকারি প্রাথমকি শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হাসান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হরিষ চন্দ্র বর্মন (রিপন), উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক নূরুল আলম সিদ্দীকি, লেকচারার মোশারফ হোসেন বাবলু, সাংবাদিক শফিউল আলম প্রমূখ। বিচারক মণ্ডলী উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে দূর্নীতি, অনিয়ম, অশালিনতা, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানান অভিযোগ প্রমানিত হলেও শিক্ষিকা রেহেনা আক্তারকে ঐ পদে আচরণ ঠিক করে শিক্ষকতা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেন বিচারক মণ্ডলীর সভাপতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ। স্থানীয় অভিভাবক, সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দের পক্ষে অভিযোগকারীরা হলেন অভিভাবক সদস্য শাহ আলম, হুসাইন আহমদ, ছাত্রলীগ নেতা আলী আরশাদ বাবলু, লোকমান হোসেন, সুলেমান মিয়া, মোঃ নূরুল হক, মোঃ আলী হোসেন, রুবিনা আক্তার, শিউলী আক্তার, সুহেল মিয়াসহ অনেকে। এ ব্যপারে দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় অভিভাবকদের সাথে শিক্ষিকা রেহেনা আক্তারের বিরোধ চলে আসছিল। অভিভাবকরা জানান, যাদের সন্তান এই স্কুলে পড়ে তারাই একমাত্র বুঝবে এই শিক্ষিকার যন্ত্রণা, তার মধ্যে কোন শিক্ষকতার রেশ নেই ইত্যাদি নানান অভিযোগ।